বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৯:৫০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ১০ ডিসেম্বর মুক্তাগাছা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় এই উপজেলা। দিনটি এলাকাবাসীর কাছে একাধারে আনন্দ ও বেদনার। মৃত্যুঞ্জয়ী মুক্তি সেনাদের তীব্র প্রতিরোধ আন্দোলনে দখলদার পাক-হানাদার বাহিনী পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। যুদ্ধকালীন সময়ে বর্বর পাকহানাদার বাহিনীর নির্মম অত্যাচার, নির্যাতন ও গণহত্যায় ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে বিপর্যস্ত হয় মুক্তাগাছার জনপদ। মুক্তিকামী জনতার সকল বাধা অতিক্রম করে পাকবাহিনী ৭১সালের ২৩ এপিল শুক্রবার ১২টার দিকে জিপ ও ট্রাকের এক বিশাল বহর নিয়ে জামালপুর থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে দখল করে নেয় মুক্তাগাছা। পাক বাহিনীর লুটতরাজ ও অগ্নি সংযোগের ফলে মুক্তাগাছা পরিণত হয় এক ধ্বংসযজ্ঞে। সে সময় পাকসেনাদের গুলিতে শহীদ হন অনেকেই।
গতকাল মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর ‘২৪) ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। দিনের অন্যান্য কার্যসূচিতে সকাল ৯টায় পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতীয় সংগীত, পতাকা উত্তোলন, বিজয় র্যালী শেষে আলোচনা সভাসহ বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মসজিদ-মন্দিরে দোয়াসহ নানা কর্মসূচি গ্রহন করেছে উপজেলা প্রশাসন। দিনের প্রারম্ভে র্যালী শেষে উপজেলায় পরিষদ হল রুমে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলার সমবায় হিসাবরক্ষক জুবায়ের আহমেদ গালিব এর সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তানভীর আহম্মেদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেলিনা ২পারভীন, সহকারী প্রকৌশলী (জনস্বাস্থ্য) নায়েব আলী খান, সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তা রাজিয়া ফেরদৌস, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল কাশেম, শফিকুল ইসলামসহ মুক্তিযোদ্ধা, সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশার সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের এই ত্যাগ-তিথিক্ষা ভবিষ্যৎ সোনার বাংলা বিনির্মাণে সমন্বিত উদ্যোগে এগিয়ে নিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘৭১ ও ‘২৪ এর বীরত্ব একই সূত্রে গাঁথা বিধায় এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সুখী-সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন সোনার বাংলা বিনির্মাণে একসাথে কাজ করতে হবে।
এর আগে একটি বিজয় র্যালী ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে।