নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বর্তমানে যানজট মুক্তাগাছার প্রতিদিনকার দৃশ্য। তবে যানজটের চিত্র যেন দিনকে দিন আরও প্রকট আকার ধারণ করছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও শেখ হাসিনার পতনের পর বেশ কিছুদিন পরে পুলিশ কর্মকর্তারা কর্মস্থলে যোগদান করে। এরপূর্বে ৭ই আগস্ট থেকে পুলিশ কর্মস্থলে যোগদান করার পূর্ব পর্যন্ত বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক এর দায়িত্ব পালন করে। এসময় মুক্তাগাছা মানুষ সম্পূর্ণ যানজট মুক্ত ছিলো এবং সকল গাড়ি ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলতো। সেই সময় আটো রিক্সা, ভ্যান, সিএনজি চালকরা সঠিক স্থানে যাত্রী উঠানো নামানো করতো। সকল কিছুই চলতো নিয়ম অনুযায়ী।
বেশ কিছুদিন কর্মবিরতির পর সড়কে পুলিশ নামলেও তাদের মধ্যে আগের মতো কর্মস্পৃহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। শহরের কলেজ রোড, নাপিত খোলা মোড়, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং নতুন বাজার মোড়ে দিনের প্রায় সবসময়ই প্রচন্ড পরিমাণ যানজট লক্ষ্য করা যায়। অনেক সময় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলেও ট্রাফিক পুলিশের কোন দেখা পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। যখন কোন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার গাড়ি শহরের মধ্য দিয়ে যায় শুধুমাত্র তখন ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় বলে মন্তব্য করেন মুক্তাগাছাবাসী।
যানজট নিরসনে পুলিশ অনেকটা নিরব ভূমিকা পালন করছে এমন অভিযোগ শহরবাসীর। গাড়ি চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শেখ হাসিনার পতনের পূর্বে মুক্তাগাছায় তেমন কোন যানজট ছিলো না। কিন্তু শেখ হাসিনার পতনের পরে পুলিশরা যখন কর্মস্থলে যোগদান করলো তারপর থেকে তারা আর আগের মতো ডিউটি পালন করছে না। তারা চাইলেই শহরটাকে যানজট মুক্ত রাখতে পারে। ইদানীং ট্রাফিক পুলিশকে রাস্তায় দেখা গেলেও তারা শহরকে যানজট মুক্ত রাখতে অক্ষম হচ্ছে। অধিকাংশ সময়ই যানজট থাকে শহরের মূল পয়েন্ট গুলোতে।
তারা আরও বলেন, ছাত্ররা যখন রোডে ট্রাফিক ডিউটি পালন করে তখন শহরে কখনোই যানজটের সৃষ্টি হয় না। কোন ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে। তাদের কাছে যানজটের কারণ জানতে চাইলে তারা বলে, হাইওয়েতে টার্মিনাল এবং শহরের মূল পয়েন্টে বাসস্ট্যান্ড এবং সিএনজি স্ট্যান্ড রাস্তার একদম পাশে হওয়া এবং যত্রতত্র যাত্রী উঠা-নামা করার কারণে সবচেয়ে বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়। যদি বাসস্ট্যান্ড ও সিএনজি স্ট্যান্ড শহরের মূল পয়েন্ট থেকে একটু দূরে হয় তাহলে যানজট অনেকাংশে কমে আসবে বলে শহরবাসী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।