নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে থানাধীন পৌরসভার সামনে থেকে দুই জন কঙ্কাল চোর, একজন আওয়ামী লীগ নেতা, একজন মাদক ব্যবসায়ী, জিআর ও নন এফআইআর আসামীসহ সাতজনকে আটক করে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ। মুক্তাগাছা থানা সূত্রে জানা যায়, আসামী মোঃ রুবেল মিয়া (২৪), পিতা-মৃত আক্কেল আলী, গ্রাম-কুখুরাকান্দা, থানা-ময়মনসিংহ সদর, জেলা-ময়মনসিংহ এবং মোঃ মনিরুজ্জামান মনির (২৫) পিতা-মৃত মোসলেম উদ্দিন, গ্রাম-রুহিলী (চরপাড়া), থানা-জামালপুর সদর, জেলা-জামালপুর দ্বয়কে আজ ভোর ০৫:২০ মিনিটে কঙ্কাল নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে ঢাকায় যাওয়ার জন্য মুক্তাগাছা থানাধীন পৌরসভা গেইটের সামনে বাসের জন্য অপেক্ষা করার সময় আসামীদ্বয়কে পেয়ে গ্রেফতার করে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ। আসামীদ্বয়ের কাছে থাকা ব্যাগ হতে দুইটি মাথার খুলি, হাত ও পায়ের হাড় ২৪ টি, ছাটনীর হাড়/পাজর ৩০ টি, কিডনি সংশ্লিষ্ট কোমড়ের হাড় ০৪ টি, মেরুদন্ডের নীচের হাড় ০২ টি, কাঁধের হাড় ০৪ টি, থুতনী/চোয়াল এর হাড় ০২ টি, মেরুদন্ডের হাড়/কশোরুকা ৩২ টি, হাত ও পায়ের আঙ্গুলের হাড় ২২ টি, হাত ও পায়ের জয়েন্ট/গিরা অংশ বিশেষ ১৬ টি হাড় উদ্ধার করা হয়। রাজনৈতিক মামলায় ৯নং কশিমপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেলিম ফরাজী (৪৭), পিতা-মকবুল ফরাজী, গ্রাম: দিঘুটিয়া এবং ৪০ পিস ইয়াবা (মূল্য-১২০০০/- টাকা) সহ আশরাফুল ইসলাম ওরফে আসাদ (৩৬), পিতা-মোঃ আব্দুল মজিদ, গ্রাম- রুদ্রপুর, সর্ব থানা- মুক্তাগাছা, জেলা: ময়মনসিংহকে গ্রেফতার করা হয়।
মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, সর্বশেষ ২১ নভেম্বর'২৪ এবং ২৫ নভেম্বর'২৪ তারিখ উভয় রাত অনুমান ১২:৩০ ঘটিকা হতে একই তারিখ ভোর রাত অনুমান ০৪:৩০ মিনিটের মধ্যে যেকোন সময় ৬টি কঙ্কাল এবং ৪ টি কঙ্কালসহ মোট ১০টি কঙ্কাল বাহেঙ্গা কেজাইকান্দা গ্রামের কেন্দ্রীয় গোরস্থান হতে অজ্ঞাতনামা চোর/চোরেরা সঙ্গবদ্ধ ভাবে এক যোগে দলবদ্ধ হইয়া রাতে অন্ধকারে সমাদিস্থানে অনধিকার প্রবেশ করে মৃত লাশের কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে যায়। বাহেঙ্গা কেজাইকান্দা গ্রামের কেন্দ্রীয় গোরস্থান ময়মনসিংহ ও জামালপুর জেলার সামীন্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় চোরচক্র এক জেলা হতে অন্য জেলায় আত্মগোপন করে ক্রমাগত কঙ্কাল চুরির ঘটনা সংঘটিত করে আসতেছিলো। তিনি আরোও বলেন, আসামীদ্বয় বিভিন্ন গোরস্থান হতে মৃত মানুষের হাড়গোড় সংগ্রহ করে কঙ্কাল ব্যবসা করতো এবং তারা আন্তঃজেলা কঙ্কাল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য।
পরে গ্রেফতারকৃত সর্বমোট সাতজন আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।